রাজশাহীর বাগমারায় দেউলা বাসস্ট্যান্ড দখল করে নির্মাণাধীন ঘর বন্ধ ও জায়গা দখলমুক্ত করার দাবিতে স্থানীয় শ্রমিকরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন। বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকালে দেউলা বাসস্ট্যান্ডে স্থানীয় শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত চলে কর্মসূচিটি। এতে দেউলিয়া ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়ন, বাস শ্রমিক, ভবানীগঞ্জ হাট-বাজার কুলি শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্যসহ স্থানীয় লোকজন অংশ নেন।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী শ্রমিকরা অভিযোগ করেন, তাদের সংগঠনের নামে থাকা এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধিগ্রহণকৃত জায়গায় স্থানীয় প্রভাবশালী তিন ব্যক্তি—মোয়াজ্জেম হোসেন, নজরুল ইসলাম ও জব্বর দেওয়ান—রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর গত ১৩ অক্টোবর থেকে রাতারাতি ঘর নির্মাণ শুরু করেন। এর আগে সেখানে থাকা শ্রমিক সংগঠনের একটি অস্থায়ী কার্যালয় ভেঙে ফেলা হয়।
শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি মানিক মন্ডল এই দখল কার্যক্রম বন্ধ করতে গত ১৫ অক্টোবর আদালতে মামলা করেন, যেখানে আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ঘর নির্মাণের কাজ অব্যাহত থাকায় শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এর প্রতিবাদে বাসস্ট্যান্ড ও তাদের ভেঙে ফেলা অফিসের সামনে মানববন্ধন আয়োজন করা হয়।
শ্রমিকদের বক্তব্য
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন আবু বাক্কার, জালাল উদ্দিন, আবদুল আলী ও আবদুর রহমানসহ শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা। তাঁরা অভিযোগ করেন, বাগমারা থানা পুলিশের সহযোগিতায় কাজটি চলছে। পুলিশের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে তাঁরা জানান। তাঁরা অবিলম্বে নির্মাণ কাজ বন্ধ ও জায়গা দখলমুক্ত করার দাবি জানান।
বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তদন্ত করার জন্য একজন উপপরিদর্শককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে, শ্রমিকদের দাবি, এ পর্যন্ত নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়নি।
অভিযোগ অস্বীকার করে মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, জায়গাটি তাঁর নিজের এবং ২০২২ সালে সেটি দখল হয়। তবে এবার তিনি সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় জায়গাটি পুনরায় দখলমুক্ত করে ঘর নির্মাণ করছেন।
এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং দখলমুক্তি নিয়ে শ্রমিক ও প্রভাবশালীদের মধ্যে মতবিরোধ চলমান।